দ্বারকেশ্বর নদ থেকে প্রাচীন মূর্তি উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল‍্য

20th April 2021 4:57 pm বাঁকুড়া
দ্বারকেশ্বর নদ থেকে প্রাচীন মূর্তি উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল‍্য


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  নদী থেকে বালি তোলার সময় প্রাচীণ মূর্তি উদ্ধারকে ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ালো বাঁকুড়ার কোতুলপুরে। মঙ্গলবার ঐ ব্লক এলাকার মদনমোহনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ননগর গ্রাম সংলগ্ন দ্বারকেশ্বর নদীর বালি ঘাট থেকে এই মূর্তি উদ্ধার হয়। খবর পেয়ে কোতুলপুর থানার পুলিশ ঐ মূর্তিটি নিজেদের হেফাজতে নিতে চাইলে বাধা দেন সম্মিলীত গ্রামবাসীরা। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভও দেখাতে থাকেন তারা।

    স্থানীয় সূত্রে খবর, অন্যান্য দিনের মতো এদিনও দ্বারকেশ্বর নদীর ননগর ঘাটে বালি তোলার কাজ করছিলেন কয়েক জন শ্রমিক। ঠিক সেই সময় বালির নিচ থেকে পাথরে তৈরী একটি মূর্তি উদ্ধার হয়। এই খবর গ্রামে পৌঁছাতে নদীঘাটে অনেকেই ভীড় করেন। তাদের দাবি অন্নপূর্ণা পূজার দিন স্বয়ং শিব-দুর্গা তাদের দেখা দিয়েছেন। গ্রামে মন্দির তৈরী করে পুজো হবে। পুলিশ ঐ মূর্তি উদ্ধার করতে গেলে গ্রামের মানুষ বাধা দেন।

   গ্রামবাসী সুশীল ঘোষ, মিনতি দালাল চৌধুরী,হীরা তাঁতিরা বলেন, কোন অবস্থাতেই পুলিশের হাতে এই মূর্তি তুলে দেওয়া যাবেনা। অন্নপূর্ণা পূজার দিন আমরা শিব দুর্গার মূর্তি পেয়েছি। গ্রামের শিব মন্দির সংলগ্ন জায়গায় নতুন মন্দির তৈরী করে তারা পূজার্চণা করবেন বলেই জানিয়েছেন।

সর্বশেষ পাওয়া খবরে এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। যদিও পুলিশকে আটকে রেখেছেন গ্রামবাসীরা।

 





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।